শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
স্টামফোর্ড ফার্মেসি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ফার্মাসিউটিক্যালস্– প্রোডাক্ট অব দ্যা ইয়ার ২০১৮; ফার্মাসিস্টদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় গত একুশে ফেব্রুয়ারী বিকেল ৫টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে।
একুশের সন্ধায় এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের আত্মার শান্তির জন্য দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
প্রধান অতিথি বলেন, গুনগত স্বাস্থ্যসেবা দেশের সাধারন মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়ার জন্য ১৪৮টি মডেল ফার্মেসি চালু হয়েছে। খুব অচিরেই মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সমূহে এ গ্রেড ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দেয়া হবে বলেও তিনি জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ফার্মসিউটিক্যালসঃ প্রেডাক্ট অব দ্যা ইয়ার–২০১৮ বাস্তবায়ন করতে সরকারের সাথে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার অহবান জানান। ঔষধ প্রশাসন এবং ফার্মাসিস্ট সমাজ একত্রে কাজ করলে ঔষধকে আরও বড় শিল্পে রুপান্তর করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস. এম. শফিউজ্জামান। তিনি তার বক্তব্যে ঔষধ শিল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন ২০০১ সালে যেখানে আমরা ১২ থেকে ১৫টি দেশে ঔষধ রপ্তনী করতে পারতাম বর্তমানে বিশ্বের ১৫১টি দেশে রপ্তানী করছি। জাপানের জ্যাইকা এদেশের ঔষধ সেক্টরে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে বলে জানান তিনি। এপিআই পার্ক নির্মাণের জন্য ৩৫টা কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্প চালু হলে ঔষধের দাম অরো কমবে এবং ফার্মাসিস্টদের জন্য নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এতে উপস্থিত ছিলেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মিসেস ফাতিনাজ ফিরোজ। তিনি স্টামফোর্ডের ফার্মাসিস্টদের গুণগত মান এবং দক্ষতার বর্ণনা দিয়ে উপস্থিত প্রধান অতিথি এবং শিল্পোদ্যোক্তাদের কাছে তাদেরকে কাজের ক্ষেত্রে সহায়তা করতে অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঔষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ. কে লুতফুল কবির। তিনি বলেন আমাদের ঔষধ স্থানীয় চাহিদা পুরণ করে বিশ্বের ১৪৫টি দেশে (ঔষধ প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী) রপ্তানী হচ্ছে। আর এ বিশাল সম্ভাবনা দেখেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঔষধকে এবছরের প্রোডাক্ট অব দ্যা ইয়ার ঘোষনা করেছেন। তিনি প্রোডাক্ট অব দ্যা ইয়ার বাস্তবায়নের মূল কারিগর যারা অর্থাৎ ঔষধ শিল্পের বিকাশমান অগ্রগতির পিছনে অবদান রেখে যাচ্ছেন যে ফার্মাসিস্ট সমাজ কর্মক্ষেত্রে তারা সঠিকভাবে মূল্যায়িত হচ্ছেনা উল্লেখ করে ঔষধ শিল্প মালিকদের প্রতি চাকুরির ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর অহবান জানান। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ান ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্তাপনা পরিচালক কে. এস. এম মোস্তাফিজুর রহমান সহ ঔষধ শিল্পে কর্মরত বিভিন্ন কোম্পানির কর্মকর্তাগন। এতে সভাপতিত্ব করেন অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব পলাশ গোস্বামী।
অনুষ্ঠানের শেষে এক আনন্দঘন পরিবেশে প্রধান অতিথির মাধ্যমে সংগঠনের ওয়েবসাইট www.spaabd.org এর শুভ উদ্বোধন করেন। সভায় আলোচনার পাশাপাশি মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভাষার গান এবং আবৃত্তি নিয়ে ফার্মেসি বিভাগের বর্তমান ছাত্র/ছাত্রীদের সমন্নয়ে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।